আজ শুক্রবার (২১ আগস্ট) স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুপুর ২টা থেকে স্বর্ণের এ নতুন দর কার্যকর হয়েছে। বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বর্ণের বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের বাজারে কী দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে, তা নির্ধারণ করে বাজুস। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া-কমার ওপর নির্ভর করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত বিশ্ববাজারের সাতদিনের দামের গড় ভিত্তিতে কী পরিমাণ দাম বাড়বে না কমবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী শুক্রবার থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৫৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ২৫৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৩৬১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫০ হাজার ৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম পূর্বের নির্ধারিত ৯৩৩ টাকাই বহাল রয়েছে।’
এদিকে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের বাজারে চারবার দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে স্বর্ণের দাম। বাজুসের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে উঠেছিল। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। এটি ছিল ওই সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে দেশে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ৬০ হাজার ৬৫৩ টাকা।
গত ১৩ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া দাম অনুযায়ী আজকে দুপুর পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম ছিল ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৫৬৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৮১৯ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৪৯৭ টাকায় দেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে।