রোববার (২৩ আগস্ট) জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি মি. ইউহো হায়াকাওয়া শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ তথ্য জানান।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সলিম উল্লাহ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি মি. কজি মিটুমরি, কর্মসূচি উপদেষ্টা মি. রিউচি কাটসুকি, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্টাকচারাল ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আনিসুজ্জামান অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে মি. ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিবিশ্বে গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে গুণগতমান সুরক্ষা এবং ফুড ভ্যালু চেইনের উন্নয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহরের জনগোষ্ঠির ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একইসাথে নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা ও যোগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতের উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং পণ্য বৈচিত্রকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
শিল্পমন্ত্রী জাইকাকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণের আধুনিকায়ন, খাদ্য এবং খাদ্য সংশ্লিষ্ট শিল্পের অগ্রগতিতে জাইকা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোর পণ্য বৈচিত্রকরণে জাইকা উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন।