সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালন্টেপুল বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। যা পূর্বে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে ৪৯ হাজার ৫০০ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার। এবার মোট ৮২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবে।
উপজেলা ও থানা পর্যায়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি বণ্টন করা হয়। ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিতে সাধারণ বৃত্তি বণ্টন করা হয়।
এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে আট হাজার ১৪৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ছয়জন (তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী) করে মোট ৪৮ হাজার ৮৭০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৬৩০টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা ও থানায় একটি করে মোট ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে।
২০১৫ সাল থেকে বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হতো। ২০১৫ সাল থেকে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। উভয় ধরনের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন প্রদান করা হচ্ছে।