অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গৃহশ্রমিকদের শোভন কাজ ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে তাদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির কোন বিকল্প নেই। বক্তারা গৃহশ্রমিক নির্যাতন বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫ এর পুণার্ঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী জানান। এ ছাড়াও গৃহশ্রমিকদের নিবন্ধন ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা, ন্যায্য কর্মঘণ্টা ও মজুরি, বিশ্রাম, ছুটি, বিনোদন ও গৃহ পরিদর্শন, সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা-উপজেলায় সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, পাঠ্যসূচিতে গৃহশ্রমিকদের প্রতি শিষ্টাচার অন্তর্ভুক্ত করা, গৃহশ্রমিকদের পেশাগত ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং তাদের সুরক্ষায় নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিল্স নির্বাহী পরিষদ সদস্য কাজী রহিমান আক্তার সাথীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর শিখা চক্রবর্তী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কে এম শহীদুজ্জামান, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী শামীম আরা, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার প্রতিনিধি রিচা শর্মা, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের সুনীতি প্রকল্পের সমন্বয়কারী তারেক আজিজ, বিল্স পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, একাত্তর টিভির সিনিয়র সাংবাদিক ফারজানা রূপাসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি, গৃহশ্রমিক ইস্যুতে কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় গৃহকর্মীদের নিয়ে কবিগান পরিবেশন করেন বাউলশিল্পী আলম দেওয়ান ও তার দল।
উল্লেখ্য, বিল্স, গণসাক্ষরতা অভিযান, হ্যালোটাস্ক, কর্মজীবী নারী, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রেডঅরেঞ্জ ও ইউসেপ বাংলাদেশ যৌথভাবে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে গৃহশ্রমিকের অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষায় “সুনীতি” (সিকিউরিং রাইটস অফ উইমেন ডমেস্টিক ওয়ার্কাস ইন বাংলাদেশ) শীর্ষক একটি প্রকল্প সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে পরিচালনা করছে। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী গৃহশ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সংগঠিত করা, তাদের নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, গৃহকর্মকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাজ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং নীতিনির্ধারক, সরকার ও সমাজে গৃহকর্মের সম্মানজনক অবস্থান তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী গৃহশ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণ সাধন।
অর্থসংবাদ/এসএম