পাকিস্তান মিশনের প্রধান নাথান পোর্টারের নেতৃত্বে আইএমএফ প্রতিনিধিরা কয়েক দিন ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। রাজস্ব ও এর ওপর আগের পদক্ষেপের প্রভাব পর্যালোচনা করার জন্য গত ৩ মার্চ তারা কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউকে (এফবিআর) রাজস্ব ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ১৭ হাজার কোটি রুপি সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি অপসারণ এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মতো অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ করবে তারা।
উভয় পক্ষই অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতিমালার (এমইএফপি) একটি খসড়া স্মারক তৈরি করবে, যা কর্মকর্তা পর্যায়ের চুক্তি (এসএলএ) নামে পরিচিত। আগামীকাল থেকে এ খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আইএমএফের অন্যতম শর্ত অনুসারে এরই মধ্যে চীনের মতো দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গতকাল পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) চীনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (আইসিবিসি) থেকে ৫০ কোটি ডলার পেয়েছে। মোট ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ তিন কিস্তিতে দেয়া হবে।
কর্মকর্তারা আশা করেন, আইসিবিসি থেকে পুরো ১৩০ কোটি ডলার এবং আইএমএফের কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার পাওয়ার পর পাকিস্তান আরো ভালো অবস্থানে থাকবে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে শিগগিরই ৩০০ কোটি ডলার আশা করা হচ্ছে। এছাড়া গত আগস্টে কাতারের প্রতিশ্রুতি ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিয়েও তারা ইতিবাচকভাবে ভাবছে।