কৃষিকাজ সংক্রান্ত মৌলিক ধাপগুলো এই সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের আওতায় থাকবে। এই উদ্যোগে আওতায় জলবায়ু ও লবণ সহনশীল বীজ, সার, কীটনাশকের এর মতো প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কৃষকদের নিকট সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়া ব্যবহার উপযোগী মাধ্যমগুলো কাজে লাগিয়ে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকার কৌশলগুলোও তাদের শেখানো হবে। ফ্রেন্ডশিপ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ৭ হাজার কৃষককে বাজার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করবে, যা তাদের বৃহত্তর স্কেলে ও আরও সহজে পণ্য বিক্রয়ে সাহায্য করবে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থাগুলোর সাথে সংযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা তহবিল, কাঁচামাল এবং এলাকা-নির্দিষ্ট সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। সৌরচালিত পাম্প ও ক্রপ ড্রায়ারের মতো টেকসই ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষিকাজ অনেক সহজ করবে এবং থামাল জাতীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে বৈরী আবহাওয়াতেও চরের বাসিন্দারা দৈনন্দিন কৃষিকাজ অব্যাহত রাখতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত চরগুলোয় বসবাসকারীদের জলবায়ু জটিলতার মধ্যেও জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা পেতে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন। ৭ হাজার কৃষক, তাদের পরিবার ও চরের অসহায় বাসিন্দাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং এই উদ্যোগে আমাদের পাশে থাকায় ফ্রেন্ডশিপকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের সহায়তায় চরের কৃষকরা জ্ঞান, উদ্ভাবন, শিক্ষা এবং টেকসই রিসোর্সগুলো ব্যবহার করতে পারবে, যা তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সাহায্য করবে। একই সাথে এর মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের মধ্যকার ভেদাভেদ দূর হবে বলে আমি মনে করি। আমরা ফ্রেন্ডশিপের সাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে একসাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদী।”
ফ্রেন্ডশিপের ফাউন্ডার ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রুনা খান বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমি আনন্দিত। সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সাহায্য করতে পারবো। এতে করে স্টেকহোল্ডারদের করা আমাদের চারটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ হবে। এটি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে যেমন জীবন রক্ষা করবে, একইসাথে কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করবে, কৃষি সম্প্রদায়কে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক করে তুলবে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষক ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১১৮ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দীর্ঘদিন যাবত দেশের অগ্রগতির অংশীদার হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাফল্য, সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধিতে সাহায্যের লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করে আসছে।
ফ্রেন্ডশীপ একটি আন্তর্জাতিক সমাজ-কল্যাণমূলক সংস্থা। গত ২০ বছর যাবত ফ্রেন্ডশীপ দেশজুড়ে প্রত্যন্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে সহায়তা করছে। প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি তাদের চারটি প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে থাকে; জীবন বাঁচানো, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু অভিযোজন এবং ক্ষমতায়ন।
অর্থসংবাদ/এসএম