মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাইলট বেসিসে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ যদি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করতে চায়, সেক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রশ্ন করতে পারবে না। আমরা সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব নিয়ে প্রশ্ন করে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি, তারা এ বিষয়ে প্রশ্ন করবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রশ্ন তোলে তবে তাদের সেটা অন্যায়, অনুচিত হবে। এক্ষেত্রে কেউ চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। সরকার আইন করে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করতে বলেছেন। এখানে কেউ প্রশ্ন রাখতে পারে না।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে শেয়ারবাজারে তিন বছরের জন্য এ অর্থ বিনিয়োগ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
শেয়ারবাজার ছাড়াও ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, ভবন, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোন সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দেওয়া সাপেক্ষে তা আয়কর রিটার্নে দেখাতে পারবেন। এক্ষেত্রেও আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার এ বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন।