রবিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এবছর সেরা সংগ্রামী কৃষক (পুরুষ) ও সেরা সংগ্রামী কৃষক (নারী) নতুন দু্ই ক্যাটাগরিসহ সর্বমোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন পথিকৃত গবেষক ড. এম এ হামিদ মিয়া।
এছাড়া পুরস্কার পান বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ) রকিবুর রহমান টুটুল, বছরের সেরা কৃষক (নারী) হোসনে আরা রহমান, সেরা সংগ্রামী কৃষক (পুরুষ) যৌথভাবে আব্দুর বাছির বদু ও কল্লোল রায়, সেরা সংগ্রামী কৃষক (নারী) যৌথভাবে সুরাইয়া ফারহানা রেশমা ও শাপলা ইয়াসমিন, পরিবর্তনের নায়ক হযরত আলী, জুরি স্পেশাল ড. চাষী ইনকর্পোরেশন, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবণ ও প্রযুক্তি) এ আর মালিক সিডস (প্রা) লিমিটেড, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন) বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সেরা কমিউনিটি কাজিরপুর দিয়ার গ্রামবাসী।
প্রায় চার শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেন। জুরি বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাজাহান কবির, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ন্যাশনাল জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল-ইকোনোমিক এনালিস্ট জাকিয়া নাজনীন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, আমাদের কৃষিখাতে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে খুব জরুরি। বিশেষ করে অনিশ্চয়তার সময়। আমাদের খাবার টেবিলে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য, স্থানীয় শস্যের চাষ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের জন্য আমরা আমাদের কৃষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানাই। কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি সমবেত প্রবৃদ্ধির সচল যন্ত্র যা কমিউনিটির পারস্পরিক অংশ্রগ্রহণ নিশ্চিত করে। চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে এই মহতি আয়োজনের অংশীজন হতে পেরে আমরা গর্বিত।
চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে আমরা আসলে নিজেদের সম্মানিত করতে চাই। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে অনন্য উচ্চতায় রেখে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের কথা চিন্তা করেন, সেখানে কৃষকই সবেচেয়ে মর্যাদাবান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সঙ্গে আমাদের এই যৌথ আয়োজন, সত্যি মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। ’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘আমাদের কৃষকদের হাতেই রচিত হয়েছে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। আমরা আজকে যে দিন বদলের কথা বলছি, উন্নয়নের কথা বলছি, আমাদের যে অগ্রগতি তার পেছনে রয়েছে কৃষকের বড় অবদান। শুধু কৃষক নয়, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক এবং কৃষিতে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ আমাদের কৃষি উত্তরণে ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের এ সময়ে তরুণ কৃষকরা প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে অসামান্য সাফল্যের নজির গড়ছেন। প্রত্যেকেই বিশেষ মূল্যায়নের দাবি রাখেন। যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের অনেক বড় অবদান। এই নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের
সম্মানিত করতে পেরে চ্যানেল আই আনন্দিত।’
পুরস্কারপ্রাপ্তরা কৃষিমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম