এই বিনিয়গের মাধ্যমে তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে ‘ভারতে তৈরি’ ট্যাগসহ ১ হাজার কোটি টাকার পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহের মাইলফলক ছাড়িয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বেজোস বলেন, ‘গতি, সামর্থ,... অগ্রগতি; এই দেশের কিছু বিশেষত্ব আছে এবং যা হলো গণতন্ত্র।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ভারতে এসেই বেজোস দিল্লির রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। সেই সময়ের একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে অ্যামাজনের সিইও লেখেন, ‘ভারতে পৌঁছে এমন একজনকে শ্রদ্ধা জানাতে পারলাম যিনি সত্যিই দুনিয়া বদলে দিয়েছেন, আমার বিকেলটা খুব সুন্দর কাটলো।’ সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর একটি উক্তিও তুলে ধরেন বেজোস। মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে লেখেন ‘আপনি যেন আগামীকালই মারা যাবেন এমনভাবে বাঁচুন। শিখুন কীভাবে আপনি চিরকাল বেঁচে থাকতে পারেন’।
মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন আগেই ভারতের বাজার ধরতে ৫৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরপর আবার জেফ বেজোসের সপ্তাহব্যাপী এই সফর। বিষয়টা খুব ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করছেন, অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান ভারতের বাজারে প্রবেশ করলে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারবেন না। অনেকেই পথেও বসতে পারে।
দ্য কমপিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (সিসিআই) চেয়ারম্যান অশোক কুমার গুপ্তা বলেছেন, ‘বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর এভাবে ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এই ধরসের ছাড়ের একটা নির্দিষ্ট বিধিমালা থাকা দরকার। অ্যামাজন বা অন্যান্য জায়ান্ট ইকমার্সগুলো ভারতে আসলে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পথে বসানোর চেষ্টা না করেন।’ এধরনের অভিযোগ খতিয়ে দেখারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
যদিও এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আমাজন। সপ্তাহব্যাপী এই সফরে বোজোস ভারতের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্যবসায়িক নেতা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্ত এবং তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ জানিয়েছেন।
মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসায় প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে আলোচনার জন্যই সম্ভব সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।