প্রতিবেদনে নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং তাঁদের ব্যবসার সহায়ক আইন সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে রয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর ৪৯.৪ পয়েন্ট, যা ২০২০ সাল থেকেই অপরিবর্তিত রয়েছে। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন দেশে নারীরা কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পুরুষের বিপরীতে আইনগত অধিকার কতটুকু পাচ্ছেন, তা মূল্যায়ন করা হয়েছে আটটি মানদণ্ডের মাধ্যমে। এই আটটি মানদণ্ড হচ্ছে চলাফেরার স্বাধীনতা, কর্মক্ষেত্র, বেতন, বিবাহ, মাতৃত্ব, উদ্যোক্তা, সম্পদ ও অবসর ভাতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুরুষের বিপরীতে চলাফেরার স্বাধীনতায় নারী পূর্ণমাত্রায় সুযোগ পাচ্ছে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে স্কোর এক শতে ১০০। কর্মক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারে ৫০ পয়েন্ট। বেতন-ভাতায় ২৫, বৈবাহিক স্বাধীনতায় ৬০, সন্তান গ্রহণের পর কাজ করার ক্ষেত্রে অধিকারে ২০, ব্যবসা পরিচালনায় ৭৫, উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদপ্রাপ্তি ও মালিকানা ৪০ এবং অবসরের পর নারীর পেনশনপ্রাপ্তিতে ২৫ পয়েন্ট পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীর আইনগত অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনগত সুযোগ তৈরি, নারীর বেতনপ্রাপ্তি, বিবাহ সম্পর্কিত আইন, সন্তান গ্রহণের পর কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার, ব্যবসা পরিচালনায় সুযোগ তৈরি ইত্যাদি।