গত বুধবার (১ মার্চ) এক টুইট বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিনিয়োগকারীদের সোনা-রুপা ও বিটকয়েনে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।
আমেরিকান উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও লেখক রোবার্ট কিওসাকি এ পর্যন্ত ২৬টি বই লিখেছেন। তার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত বই ‘রিচ ডেড পুওর ডেড’ বইয়ের লেখক তিনি। এই বইটি বিশ্বের ৫১টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে এবং ৪১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
ব্যাংক খাতের এই পতনে সমাধান কী হতে পারে, তা খুঁজছেন অর্থনীতিবিদরা। ফিনবোল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ডেপুটি গভর্নর জন কানলিফ পরামর্শ দিয়েছেন-সম্ভাব্য পতন থেকে ব্যাংক খাতকে ডিজিটাল পাউন্ড হয়তো রক্ষা করতে পারবে।
বিশ্ব অর্থনীতি যখন ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন কিওসাকি বলছেন, ‘একটি ভয়ানক পতন আসছে। এ অবস্থায় আর্থিক সংকটে টিকে থাকার জন্য সোনা ও বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে হবে।’
এর আগে কিওসাকি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। এমনকি শেয়ারবাজার ধসে অবসর পরিকল্পনা ও পেনশন ভাতা প্রদানও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যেতে পারে।’
সাম্প্রতিক ফিনবোল্ডের এক প্রতিবেদনে কিওসাকি আরো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।’
সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে এই রচয়িতা ফেডারেল রিজার্ভকে দোষারোপ করেছেন। তার মতে, প্রতিষ্ঠানটি ‘জাল অর্থ’ প্রিন্ট করছে। এ অবস্থায় বড় ধরনের একটি বিপর্যয়ের ব্যাপারে তিনি সতর্ক করেন। গত জানুয়ারি মাসে এই বিখ্যাত বিনিয়োগকারী বিশ্বে সম্ভাব্য একটি মন্দার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, দেউলিয়া এবং বাড়িহীন হওয়ার কারণে যা হতে পারে।’
বিশ্ব অর্থনীতির ধূসর পরিস্থিতির কারণে কিওসাকি সোনা ও রুপার পাশাপাশি বিটকয়েনে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, বাজারে যেকোনো মন্দার বিপরীতে সোনা-রুপা ও বিটকয়েন রক্ষা করতে পারবে। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বুকে অন্যতম হট তিনটি বিষয় হচ্ছে সোনা-রুপা এবং বিটকয়েন।’ তিনি বিটকয়েনকে জনগণের অর্থ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘এ বছর বাজার খারাপ থাকলেও বিকল্প বিনিয়োগ পণ্য হিসেবে এর চাহিদা বাড়বে।’
অর্থসংবাদ/এসএম