বুধবার (৮ মার্চ) রাতে নিজেদের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় জয় তুলে নিয়েছে বাভারিয়ানরা। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ অগ্রগামিতায় শেষ আটে পা রেখেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের অন্যতম সেরা তারকা নেইমার চোটে ছিটকে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শক্তি ও সামর্থ্যের দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল পিএসজি। অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠের খেলায় নেইমারের অভাব ছিল পুরোপুরি স্পষ্ট। এদিন পিএসজির আক্রমণভাগের বড় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বার বার আক্রমণ করলেও ফিনিশিংয়ে ছিল ব্যাপক দুর্বলতা।
ম্যাচের পুরোটা সময় মেসি ও এমবাপেকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিল বায়ার্নের ডিফেন্ডাররা। এক কথায় এই সুপারস্টারকে পকেটে পুরে রেখেছিলেন বায়ার্নের রক্ষণভাগের দায়িত্বে থাকা দায়োত উপামেকানো ও ডি লিট। এরপরও বায়ার্নের চিনের প্রাচীরের মতো নিরেট রক্ষণ ভাঙতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছে পিএসজির অগোছালো আক্রমণভাগ। তবে ডি-বক্সে উপামেকানো-ডি লিট জুটির কাছে একের পর এক পরাস্ত হয়েছে তারা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। ২৫তম মিনিটে ডি-বক্সে মেসির তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের ডিফেন্ডাররা।
৩২তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার শটে ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ছয় মিনিট পর দুর্বল শটে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি ভিতিনহা। গোললাইন থেকে দারুণ স্লাইডে বল ক্লিয়ার করেন ডি লিট।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২তম মিনিটে বল জালে জড়ান বায়ার্নের এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। তবে অফসাইডে গোল বাতিল হয়ে যায়।
৬১তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় বায়ার্ন। নিজেদের এরিয়ায় সতীর্থর পাস সামলাতে গিয়ে বল হারান মার্কো ভেরাত্তি। এতে বল পেয়ে যান লেয়ন গোরেটসকা। তার পাসে বল জালে জড়ান চুপো-মোটিং।
৮২তম মিনিটে সমতায় ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রামোস। একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার।
৮৯তম মিনিটে পিএসজির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সের্গে জিনাব্রি। জোয়াও কানসেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন তিনি। আর এতেই ভেস্তে যায় পিএসজির কোয়ার্টারে ওঠার স্বপ্ন। যোগ করা সময়ে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। শেষ পর্যন্ত শেষ বাঁশি বাজলে জয়ের উল্লাসে মাতে বায়ার্ন।
অন্য ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে এসি মিলান। এতে করে ১-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।