সোমবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে ত্রিপুরা। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে গোমতী নদীপথ ধরে সোনামুড়া থেকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলক নৌ-সফর শুর হতে চলেছে। এই সফরেই ঢাকা থেকে সোনামুড়ায় বার্জে চেপে পৌঁছাবে ৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট। ত্রিপুরার ইতিহাসে এর আগে জাহাজে চেপে কোনো পণ্য পৌঁছায়নি।’
গোমতী নদীপথে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্তি পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নৌপথ চালু করার অনুমোদন আগেই দিয়েছে বাংলাদেশ ভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বছরভর যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকার কারণেই এই পরিকল্পনায় গোমতী নদীপথকে বেছে নেয়া হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়, গত মে মাসে ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল যাত্রাপথের অংশ হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস ও বাংলাদেশ সরকারের জাহাজ সচিব মো. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে ছিল সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌপথ।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের করা সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীপথের ৮৯.৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে এবং ৫০০ মিটার ভারতে। গত জুলাই মাসে ভারত-বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্পের জন্য গোমতী নদীর ওপরে উদ্বোধন হয় এক ভাসমান জেটির।
এই নৌপথে ৫০ টন পণ্য বহনকারী ছোট নৌকা চলাচল করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।