অভিযোগ সত্য নয় বলে জানাল সুলতান’স ডাইন

অভিযোগ সত্য নয় বলে জানাল সুলতান’স ডাইন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক ভোক্তা। এরপর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, কাচ্চিতে খাসির মাংসের নামে অন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে সুলতান’স ডাইন বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়। মাংস নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষার দাবি জানান তারা।

সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘তারা সরাসরি এসে খাবারটা নিয়ে যান। তারা একটি ব্যাংকে কর্মরত। সাতটা হাফ কাচ্ছি নিয়ে যান এখান থেকে। নিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর তারা ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান। ফোন দিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। তারা ফোন করে বলেন, ‘আপনারা বাটপাড়ি ব্যবসা করেন, খারাপ ব্যবসা করেন। আপনারা এই ধরনের খাবার কিভাবে দেন।’ আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা (যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন) আমাকে বলেন, ‘ওই ব্যাটা, তরা বাটপাড়ি ব্যবসা করস। তরা খাবারে এসব দেস।’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কী দেই? তারা বলেন, ‘তরা হাতি-ঘোরা কী দেস! বিড়ালের মাংস দেস।’ বিষয়টি আমি তাদের বুঝিয়ে বলি। আমি তাকে বলি, ‘আপনারা চাইলে আমাদের রান্নাঘর পরিদর্শন করতে পারেন। এসে দেখেন আমরা কিভাবে খাবারটা প্রক্রিয়া করি।’

সুলতান’স ডাইনের এই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আরো বলেন, ‘আমাদের খাসিগুলো ছয় কেজি থেকে সাড়ে ছয় কেজি, আট কেজি বা ৯ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এর বেশি হতে পারে না। কারণ খাসি এর থেকে বেশি বড় হলে গোশত সিদ্ধ হবে না। এমন বেশি ওজনের খাসি দেওয়া যাবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট থেকেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের আবার খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করে সুলতান’স ডাইন- এমনটি জানিয়ে আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, খাবার নিয়ে যেতে যেতেই আবার ফোন করে তারা। তারা আমাকে হুমকি দেয়। বলে, ‘আমি কী এটা ভাইরাল করে দেব। র‌্যাবকে ফোন করে কি ধরিয়ে দেব?’

আশরাফুল আলমের দাবি, ‘খাবার নিয়ে কিছুক্ষণ পরে সেখানে যান আমাদের কয়েকজন। যাওয়ার পর তারা কয়েকজন মিলে আমাদের লোকদের টর্চার করেন। সেখানে আমিও যাই। গিয়ে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের বলি, আপনারা চাইলে মাংসাটা ল্যাবেও পরীক্ষা করাতে পারেন। কিন্তু তারা আমাদের চাপ দিতে থাকেন।’

যারা কাচ্ছি নিয়ে গিয়েছিলেন তারা টাকা দাবি করেন জানিয়ে আশরাফুল আলম বলেন, “তারা আমাকে র‌্যাব-দুদকের হুমকি দেখায়। তারা আমাকে যুবলীগের হুমকি দেখায়। একজন মহিলা এসে বলছেন, ‘র‌্যাবকে খবর দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব আসছে। এদেরকে ধরিয়ে দেও।’ তারপর আমাকে তাদের বাসার নিচে যেতে বলেন, নিচে যাওয়ার পর একজন আমাকে বলেন, ‘কী করবেন এখন বলেন?’ আমি তাকে বলি, কী করতে হবে বলেন, সেটা আমি করব। তখন তিনি বলেন, ‘১০ হাজার টাকা দেন।’ আমি তাকে বললাম, ১০ হাজার টাকা দেব কেন ভাই? আমি খারাপ খাবার দিয়েছি? আমি যদি বিড়ালের মাংস দিয়ে থাকি সেটা বলেন? প্রমাণ করেন! আমি তো টাকা দেব না।’ ”

কয়েকজন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে জানিয়ে সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘ইজ্জতের ভয়ে আমি চলে আসি। তারপর ম্যানেজারকে জিম্মি করে রাখে। একটি ক্লাবে আটকে রেখে আমাদের ফোন করে। সন্ধ্যার দিকে তারা ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়। আমরা এ নিয়ে কিছু বলিনি। এই ঘটনার পর আমাদের নামে দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেঁয়াজের দামে শঙ্কায় কৃষক, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি বন্ধ
তিনদিন সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল বন্ধ
চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট বাবলু
স্থলবন্দর এলাকায় মর্টারশেল, ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী
রংপুরের তারাগঞ্জ সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪
এক জালে ১৫৯ পোপা মাছ, দাম হাঁকছেন ২ কোটি
রেললাইনের ক্লিপ খুলে নিলো দুর্বৃত্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা