বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লেফটেন্যান্ট এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভুঁইয়া, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), বীর বিক্রম, সাহিত্যে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন), সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় এ এস এম রকিবুল হাসান।
এছাড়া সমাজসেবা/জনসেবায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফিরদৌসী কাদরী।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বর্তমানে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রদত্ত বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। অনন্য সব পুরস্কারের সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওই বছরের ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ প্রকাশ করে।
সরকারের এ নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। আগে দেওয়া হতো ৩ লাখ টাকা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।
অর্থসংবাদ/এসএম