বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) অধিদপ্তরের সভাকক্ষে পোলট্রি খাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্থিতিশীল ব্রয়লার মুরগির বাজার। গত এক সপ্তাহ থেকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়
যদিও সভায় উপস্থিত সাধারণ খামারিরা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬৭ টাকা, আর করপোরেটদের উৎপাদন খরচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। এসব মুরগি দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ২০৫ থেকে ২০৭ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে, যা খুচরা পর্যায়ে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্যের এই বিশাল ব্যবধান নিয়ে সভা থেকে আপত্তি করা হয়। এবং যৌক্তিক দাম নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করা হয়। তা না হলে বিদেশ থেকে আমদানি করার পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমার যেটা ধারণা, আজকের আলোচনার পরে নিঃসন্দেহে মুরগির দাম পড়তির দিকে থাকবে। এর পরও যদি দেখা যায় কাজ হচ্ছে না, সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে হয়তো আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে পারে। সেটাও আমি (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে) জানাব, যদি মনে হয় যে কোনোভাবেই কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি ভোক্তাদের, ১৬ কোটি মানুষকে সাফার করাব। সেখানে আমদানি করে যদি ১৮০ টাকায় মুরগি খেতে পারি, আমদানি করে যদি ৮ টাকা ডিম খেতে পারি, তাহলে আমাকে তো সে বিষয়গুলো ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় দেখতে হবে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বিষয়গুলো আসবে।
অর্থসংবাদ/এসএম