অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারি আর এবারের অতিরিক্ত বন্যায় এ পদ্মাসেতু নির্মাণকাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। তাই আগামী জুনে এটা সম্ভব হচ্ছে না।
আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সেতু নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় বেশি লাগার জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসন কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক সংস্থার মেয়াদ আরও ৩৪ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি এক লাখ ৩২ হাজার টাকা।
প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় যা ছিল তাই থাকবে। প্রকল্প ব্যয়ে এটা অলরেডি ধরা ছিল, সেখান থেকেই অ্যাডজাস্ট করা হবে।
এ সময় পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার মতো কোনো ভাইরাস নিয়ে আমরা চিন্তা করিনি তাই ২০২১ সালের মধ্যে কাজ শেষ করবো বলে বলা হয়েছিল। এটা আমাদের সবারই প্রত্যাশা ছিল এবং সেভাবেই কাজটা এগুচ্ছিল। তাই আমাদের পরিপূর্ণ ধারণা ছিল যে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা এটা শেষ করে দেশের মানুষের উপকার করতে পারবো।
কিন্তু আসলে এ করোনা ভাইরাস সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। তাই এ প্রকল্পটিও সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই ২০২২ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েছি। আমরা আশা করি এর মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।