গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠকে দুই ব্যাংকের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব নতুন গতি পেয়েছে।
ডিবিএসের প্রধান নির্বাহী পীয়ূষ গুপ্ত ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেনসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই প্রধান নির্বাহী তাদের নিজ নিজ বাজারের স্বতন্ত্রতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেন এবং নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি অন্বেষণ নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের ঢাকায় ডিবিএসের রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস খোলার ফলে বৃহত্তর পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালে ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডিবিএস সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের রিয়েল-টাইম ও কোন ফি ছাড়া রেমিটেন্স প্রেরণের সুযোগ করে দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য একটি নির্ধারিত বিনিময় হার প্রদান করে ডিবিএস রেমিট। এর কোনো সার্ভিস ফি নেই এবং ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বাংলাদেশের অন্য যে-কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রিয়েল-টাইম স্বয়ংক্রিয় ডিপোজিট নিশ্চিত করে। গ্রাহকরা ডিবিএস রেমিট ব্যবহার করে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিকাশ-এ অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিকাশে আছে ৫.৫ কোটির বেশি গ্রাহক।
ডিবিএসের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যবৃন্দ গ্রুপ হেড অব ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তান সু শান, ঢাকা চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাহসিনা বানু, ভারতের সিইও সুরজিৎ সোম, হেড অব ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারস (যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) টিয়েন-অ্যান লিম, গ্রুপ হেড অফ প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্লোবাল ট্রানজেকশন সার্ভিসেস শ্রীরাম মুথুকৃষনান ব্র্যাক ব্যাংক পরিদর্শনে ডিবিএসের সিইওর সঙ্গে ছিলেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন: ‘আমরা বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল ব্যাংক, ডিবিএস ব্যাংকের পার্টনার হয়েছি, কারণ তারা আমাদের মত উন্নততম প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এই সফর আমাদের দুই ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এবং সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে। এটা আমাদের অংশীদারিত্বের শুরু মাত্র এবং আমরা ভবিষ্যতে ডিবিএস-এর সাথে পার্টনারশিপ আরও বাড়াতে চাই।’
অর্থসংবাদ/এসএম