মঙ্গলবার মার্ক জুকারবার্গ এক বার্তায় বলেছেন, আমাদের দলের সংখ্যা ১০ হাজার কমাতে চলেছি। এছাড়া নিয়োগ হয়নি এমন ৫ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মেটা সিইও কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এটি কঠিন, কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় নেই। যারা আমাদের সাফল্যের অংশ হয়েছেন সেসব প্রতিভাবান সহকর্মীদের বিদায় জানাতে হচ্ছে। এই নতুন অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে থাকবে।
এই ছাঁটাই কোম্পানির পুনর্গঠনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে কম অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। পাশাপাশি মেটা কাঠামোতে উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়াও নতুন করে নিয়োগ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান।
ছাঁটাইয়ের ঘোষণার পর লাফিয়ে বেড়েছে মেটার স্টক। মেটাতে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরের পরে মেটার স্টক বড় লাফ লক্ষ্য করা গেছে। মার্কিন বাজারে প্রি-মার্কেট ওপেনিংয়ে মেটার শেয়ার প্রাথমিকভাবে ৬ শতাংশ বেড়েছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর গভীর সঙ্কটের কারণেই মেটাতে ছাঁটাই থামছে না। তার ওপরে চিন্তা বাড়িয়েছে মেটার খারাপ ফলাফল। রিপোর্ট বলছে, মেটার বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ও কমেছে। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মেটা ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই ঘোষণা করেছিল। ২০০৪ সালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। এর আগে এত বড় ছাঁটাই হয়নি কোম্পানিতে।
আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি ও ব্যয়বহুল ঋণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে। তার ওপরে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক সংকটের পর আর্থিক খাতে সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে সবথেকে বেশি বিপদে পড়েছে সেখানকার টেক কোম্পানিগুলো।