বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে লকডাউনে বন্ধ ছিল ব্যবসা। অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ব বাণিজ্য। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠান পণ্য রফতানি করলেও সময় মতো মূল্য পায়নি। এমন অবস্থায় বিশ্ব বাজারে রফতানিমুখী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
এতদিন কোনো রফতানিমূল্যের প্রত্যাবাসন না হলে ইডিএফ থেকে ঋণ দেয়া হতো না। নতুন নির্দেশনায় ৭২০ দিন অর্থাৎ দুই বছর পর্যন্ত ওভারডিউ থাকলেও ঋণ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই এক নির্দেশনায় করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিকারকদের জন্য ঘোষিত নীতিসহায়তার মেয়াদ আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নীতিসহায়তা মধ্যে রফতানির অর্থ দেশে আনা ও আমদানি দায় পরিশোধের মেয়াদ ৬০ দিন করে বাড়ানো হয়েছে। ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির আওতায় স্বল্পমেয়াদি সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৮০ দিন। ইডিএফ থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো হয়েছে।