সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বঙ্গোপসাগর-ভিত্তিক অর্থায়ন ছাড়াও সেবাখাতের বিভিন্ন প্রকল্প এবং সম্ভাবনাময় বেসরকারি খাতে বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে সংস্থা দুটি; যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছে কমিশন। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, বেসরকারি খাতের বন্ড ক্রয়ের মাধ্যমে তাদের অর্থায়ন করবে আইএফসি ও এডিবি। বেসরকারি খাতের বন্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে আইএফসি এমন কোম্পানিগুলোকে পুঁজি সরবরাহ করছে যাদের হয়তো প্রচলিত ব্যাংক ঋণ বা অর্থায়নের অন্যান্য উৎসে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দেওয়া হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্থা দুটির আগ্রহ প্রকাশের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আইএফসির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বিএসইসি। এর আওতায় বাংলাদেশের বিপুল সমুদ্রসীমার তলদেশ, পানিসম্পদ ও সি বেল্টে থাকা সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। ‘পাশাপাশি বন্ডগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে ছাড়া সম্ভব হয়, সেজন্যই আইএফসির সঙ্গে ন্যাশনাল সাসটেইনিবিলিটি বন্ড গাইডলাইনস বিষয়ে কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট হয়েছে’।
সমঝোতা চুক্তির আওতায়, বাংলাদেশে লেবেলড বন্ড বাজার, যেমন- গ্রিন, সামাজিক, টেকসইতা, জলবায়ু ও ব্লু বন্ড গড়ে তুলতে সহায়তা করবে আইএফসি। বাংলাদেশে সাসটেইনিবিলিটি বন্ড সার্ভিস প্রোভাইডারদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করা ছাড়াও জাতীয় টেকসইতা বন্ড বিধিমালা (ন্যাশনাল সাসটেইনিবিলিটি বন্ড গাইডলাইন) বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে আইএফসি।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মার্টিন হল্টম্যান বলেন, ‘জাতীয় টেকসইতা বন্ড বিধিমালা এদেশের সুনীল ও সবুজ অর্থনীতির জন্য অর্থ সংগ্রহে সাহায্য করবে। সুইস স্টেট সেক্রেটারিয়েট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে এ দেশে পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসনের (ইএসজি) চর্চা উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আইএফসি।’ সমুদ্রসম্পদ আহরণ, কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ এবং জলবায়ু সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড ইস্যুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ডেবট সিকিউরিটিজ বিধিমালায় বিশেষ বিধান যুক্ত করেছে বিএসইসি।
আইএফসি এবং এডিবি ছাড়াও বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা নতুন সিকিউরিটিজ চালুর বিষয়ে সহযোগিতা করছে বলে বিএসইসি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম