বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই -জানুয়ারি) ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লেনদেন হয় ৩৩ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিলো ১৮ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। তারও আগের বছর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয় ৮ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা।
এদিকে করোনার সময়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়েছিলো। কারণ, এর মাধ্যমে বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে গ্রাহকরা ঘরে বসে সহজেই লেনদেন করতে পারেন। গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে আগ্রহী হওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে ৬২ লাখ ৫২ হাজারে দাড়িয়েছিলো। চলতি বছরে জানুয়ারিতে তা আরও বেড়ে দাড়ায় ৬৪ লাখ ৩২ হাজারে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ৪৫ লাখ ৫৪ হাজার।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২ দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।
এছাড়া জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৯২৭ কোটি টাকায়। আগের বছরের একই মাসে যার পরিমাণ ছিলো ৩২ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম ছিলো ২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেন সহজ করে। এটি পে-রোল, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান, কোম্পানির লভ্যাংশ, বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, বিল পেমেন্ট, করপোরেট পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদানের মতো লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। এছাড়া বীমা প্রিমিয়াম, ক্লাব বা সমিতি সাবস্ক্রিপশন ফি ও সমতুল্য মাসিক কিস্তির মতো অর্থ পরিশোধও এর মাধ্যমে করা যায়।
২০১৫ সাল থেকে উচ্চমূল্য ও টাইম-ক্রিটিক্যাল পেমেন্ট সম্পাদন করে আসছে বাংলাদেশ রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (বিডি-আরটিজিএস)। এর মাধ্যমে জানুয়ারিতে লেনদেন বেড়ে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা।