আয়-ব্যয় বিবরণী অনুযায়ী বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঋণদাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড, চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক চায়না কন্সট্রাকশন ব্যাংক করপোরেশন, অ্যাগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না এবং ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড; এ বছরের প্রথমার্ধে প্রতিটি ব্যাংকেরই মুনাফা কমপক্ষে দশ শতাংশ কমেছে।
উল্লিখিত এই চার ব্যাংকে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২৭ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। করোনার বিস্তার রোধে বৃহৎ পরিসরে সবকিছু বন্ধ থাকায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার মুখে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে চীনের ৪৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সামনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হয়।
মহামারির কারণে ধুঁকতে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায় খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, সস্তায় তহবিল সরবরাহ এবং ব্যাংকের দেয়া ঋণের অর্থ আদায়ের সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে কর্তৃপক্ষকে তাদের ঋণদাতাদের দেড় লাখ ইউয়ান (চীনের মুদ্রা) বা দুই হাজার ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন থেকে বঞ্চিত রাখতে হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আইসিবিসি) এ বছর নিট মুনাফা ১৪৮.৮ বিলিয়ন ইউয়ান; গত বছর যা ছিল ১৬৭.৯ বিলিয়ন। গত বছরের ১৫৪.২বিলিয়ন ইউয়ানের তুলনায় চায়না কন্সট্রাকশন ব্যাংক করপোরেশন (সিসিবি) এ বছরের প্রথমার্ধে মুনাফা করেছে ১৩৭.৬ বিলিয়ন ইউয়ান।
এ ছাড়া গত বছর অ্যাগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না যেখানে মুনাফা করেছিল ১২১.৪ বিলিয়ন ইউয়ান; এ বছরের প্রথমার্থে তা কমে হয়েছে ১০৮.৮ বিলিয়ন ইউয়ান। আর ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড (বিওসি) এ বছর মুনাফা করেছে ১০০.৯ বিলিয়ন, বিপরীতে গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ১১৪ বিলিয়ন।
অনাদায়ী ঋণ রেকর্ড ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ইউয়ান ছাড়ানোয় এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের সহস্রাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের গড়ে মুনাফা হ্রাস পেয়েছে ২৪ শতাংশ। গত মাসে সিটি ব্যাংক গ্রুপ ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যনত চীনের প্রথম সারির ব্যাংকগুলোর আয় ১০ এবং মুনাফা ১৩ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে।