শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপকভাবে প্রশংসা পেয়েছে। চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে ও ক্রমেই তা আরও জোরদার হবে। রোববার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া অভিনন্দন বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে পাঠানো ওই বার্তায় শি জিনপিং আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও এর উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। এজন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে গভীর কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রয়েছে ও এগিয়ে চলেছে। ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ ইতিবাচক ফল এনেছে, যা দুই দেশ ও তাদের জনগণের জন্য আসল সুফল নিয়ে এসেছে।
এদিকে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে পৃথকভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন। তিনি বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত জনশক্তি ও গতিশীল তরুণ জনসংখ্যার সঙ্গে ‘দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে’ বাংলাদেশ। আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী।