এই পদক্ষেপ আলিবাবার প্রধান বিভাগগুলোকে ই-কমার্স ও মিডিয়া থেকে মুক্ত করে অনেক বেশি স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে পরিচালনার সুযোগ দেবে। ফলে ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন শাখা ও বাজার সৃষ্টির ভিত্তি স্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলিবাবা ছয় ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার খবর ছড়াতেই নিউইয়র্কে প্রাক-বাজার লেনদেনে সংস্থাটির শেয়ারের দর চার শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
চীনে বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর জন্য হোল্ডিং কোম্পানি কাঠামোতে স্থানান্তর বেশ বিরল ঘটনা। সুপারমার্কেট থেকে ডেটাসেন্টার পর্যন্ত এক ছাতার নিচে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার রীতি থেকে আলিবাবার সরে আসার চিন্তাভাবনার প্রতিফলন এই সিদ্ধান্ত। সংস্থাটি নতুন বিনিয়োগকারী ও পাবলিক মার্কেটগুলোকে আকর্ষণ করতে প্রস্তুত, তারও শক্তিশালী ইঙ্গিত এটি।
ইউওবি কে হিয়ানের নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন লিউং বলেছেন, বেসরকারি খাতকে সমর্থনে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতির পরেই এ খবরটি সামনে এলো। চীন যদি তার পাঁচ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়, তাহলে আলিবাবার মতো সংস্থাগুলোকে সমর্থন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আলিবাবার অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার জ্যাক মা এক বছরেরও বেশি সময় পরে চীনে ফেরার পরপরই বিভক্তিকরণের ঘোষণা এলো।
জানা গেছে, আলিবাবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড্যানিয়েল ঝাং ক্লাউড ইন্টেলিজেন্স বিভাগের প্রধান হবেন। সাবেক ইন্টারন্যাশনাল রিটেইল চিফ জিয়াং ফ্যান হবে ডিজিটাল ব্যবসায়িক ইউনিটের প্রধান এবং তাওবাও টমল অনলাইন শপিং বিভাগের দায়িত্ব নেবেন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ট্রুডি দাই।
আলিবাবার অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে খাবার বিতরণ, কাইনিয়াও লজিস্টিক গ্রুপ এবং ডিজিটাল মিডিয়া ও বিনোদন।
সিইও ঝাং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২৪ বছরে এসে প্রবৃদ্ধির একটি নতুন সুযোগকে স্বাগত জানাচ্ছে আলিবাবা। তিনি বলেছেন, বাজার হলো পরীক্ষার সেরা জায়গা। প্রস্তুত হলে প্রতিটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও কোম্পানিই স্বাধীনভাবে তহবিল সংগ্রহ এবং আইপিও অনুসরণ করতে পারে।