বাংলাদেশ নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটর গাড়ি উৎপাদনে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশনের কারিগরি সহায়তায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মোটর গাড়ি উৎপাদন করবে। অটোমোবাইল খাতে জাপানের কারিগরি সহায়তার সুযোগ রেখে শিগগির অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি, ২০২০ চূড়ান্ত করা হবে।
আজ সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী এ কথা জানান। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ এবং জাপান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পখাতের জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটর গাড়ি উৎপাদন, জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১ প্রণয়ন ও শিল্প ডাটাবেজ তৈরিতে জাপানের কারিগরি সহায়তা, মোটরসাইকেল শিল্পের আধুনিকায়ন, বাংলাদেশে অটোমোবাইল ও হালকা প্রকৌশল শিল্প সংশ্লিষ্ট ভেন্ডর ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন, মোটরসাইকেলের সার্টিফিকেশনের জন্য অটোমোবাইল টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কারিগরি সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কথা হয়।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপানের উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিআইসি’র সার কারখানাগুলোতে জাপান দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণেও জাপানের সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে।
শিল্পমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন, কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল শিল্পের উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ভেন্ডার উন্নয়নে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নাওকি ইতো বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া দূরদর্শী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশনসহ অন্যান্য অটোমোবাইল শিল্প উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।