সূত্র জানায়, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর আবেদনের জবাবে এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বিবেচনা করে বাংলাদেশ সিকিওরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতিি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি এ বিষয়ে মতামত জানাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) একটি চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ১৯ ই আগস্ট ডিবিএ কমিশনকে নগদ আমানতের সীমা দ্বিগুণ করার অনুরোধ করেছিল।
এদিকে সোমবার (৩১ আগষ্ট) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সঙ্গে এক সৌজন্য সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়াত-উল-ইসলামের সাথে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠক হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান সভায় বলেন,ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগকারীদের নগদ অর্থ লেনদেনের পরিমান ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে খুব শীঘ্রই ১০ লাখ টাকা করা হবে।পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কমিশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।"কমিশন যদি এই উদ্যোগগুলি সম্পন্ন করে তবে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে এবং বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের আস্থা ফিরে পাবে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে কোনও বিনিয়োগকারী একটি ব্রোকারেজ হাউসে কেবল পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ জমা দিতে পারেন। এই নিয়ম বহু বছর ধরে কার্যকর হয়ে আসছে।এটি বিনিয়োগকারীদের এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবসার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সংশিালষ্টরা মনে করছেন।
এতদকে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলিকে একদিনে এক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা এক দিনের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত শেয়ার নির্ধারিত হারে কিনতে ব্যর্থ হওয়ায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি নগদ গ্রহণের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা হতাশ হয়ে পড়ছে এবং শেয়ার কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী শেয়ার কিনতে ব্যর্থতার কারণে ব্রোকারেজ হাউসের দৈনিক লেনদেনও হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারী এবং ব্ররোকারেজ হাউজগুলো ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
বিএসইসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার খন্দকার কামালুজ্জামান, ড. শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান ও মো. আবদুল হালিম।
শরীফ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রায় ১৮০টি ব্রোকার হাউজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন বলে ডিবিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।