প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন রাজনীতিবিদ ও আমাদের পরম সুহৃদ হিসেবে প্রণব মুখার্জির অনন্য অবদান কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়। আমি সবসময় মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে নির্বাসিত থাকার সময় প্রণব মুখার্জির আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এমন দুঃসময়ে তিনি আমার পরিবারের খোঁজ-খবর রাখতেন এবং যেকোনও প্রয়োজনে আমার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশের ফেরার পরও তিনি সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু। যেকোনও সংকটে তিনি সাহস জুগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট প্রণব মুখার্জির মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকেই গভীর কোমায় আচ্ছন্ন তিনি। ১০ তারিখেই সেনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সার্জারির আগে তার করোনা পরীক্ষার ফলও পজিটিভ আসে। নিজেই টুইট করে সেই কথা জানিয়েছিলেনও প্রণব।
সার্জারির পর থেকেই কোমায় চলে যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ফুসফুসে সংক্রমণ এবং রেনাল ডিসফাংশনের সমস্যা দেখা দেয় তার। এরপর থেকেই ভারতরত্ন প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। জানানো হয়, ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেই প্রণব মুখার্জির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন প্রণব মুখার্জির। গত বছর আগস্ট মাসে তাকে সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়।