পূর্বে জারি করা (৩০ মে ২০১৮) ওই সার্কুলার অনুযায়ী বছরে একবার ঋণের সুদ হার বৃদ্ধির সুযোগ ছিল। ঋণের সুদ হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিলে তা গ্রাহককে কমপক্ষে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হতো। এছাড়াও ঋণের সুদহার ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন মেয়াদি ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ০.৫০ শতাংশ এবং চলতি মূলধন ও অন্যান্য ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ১ শতাংশ মাত্রায় পরিমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন আগের নিয়ম বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকসমূহ কর্তৃক নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোতেও অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদ হার নির্ধারণ রোধ, ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপিঋণ সৃষ্টির জন্য পূর্বের ওই সার্কুলারে কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলারের মাধ্যমে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের অশ্রেণীকৃত ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিআরপিডি থেকে ৩০ মে, ২০১৮ তারিখে জারি করা নির্দেশনা রোহিত করা হলো। এই নির্দেশনা ১ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।