এ অনন্য সুবিধার মাধ্যমে আশিক মিয়ার মতো একজন শ্রবণশক্তিহীন ও শেখার প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন মানুষ পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারছেন। সাদিক সাদাকাহ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে গ্রাহকরা অসংখ্য শিশুর জীবন পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখতে পারছেন, যেমন; সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত কিশোরী তিন্নি আক্তার। সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) সহায়তায় তিন্নি উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি টেইলর ইনক্লুসিভ স্কুলে ভর্তি হয়েছেন।
এ অনুদানের মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপ কর্তৃক পরিচালিত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।
২০২১ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাদিক সাদাকাহ অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়, যা ক্লায়েন্ট ও অন্যকে সাহায্যে তাদের ইচ্ছা পূরণের আদলে ডিজাইন করা হয়েছে। সাদিক সাদাকাহ অ্যাকাউন্ট দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে ইসলামিক শরিয়াহসম্মত নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করে।
বর্তমানে অনুদান প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো জাগো ফাউন্ডেশন, ফ্রেন্ডশিপ, পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, ইউসিইপি বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)। এছাড়া এর মাধ্যমে প্রদত্ত অনুদান সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিতে, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে; বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ও জনসেবামূলক উদ্যোগে; কারিগরদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে; প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিতে; অটিস্টিক শিশুদের শেখার সুযোগ প্রদানে এবং জলবায়ুসংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির মতো কাজে সহায়তা করছে।
অর্থসংবাদ/এসএম