স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে লিটল রক এলাকায় অন্তত দুজন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। কারও কারও আঘাত গুরুতর। এছাড়া, উত্তর-পূর্ব আরকানসাসের ওয়াইন শহরটিও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং কর্মকর্তারা সেখানে দুইজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
লিটল রকের মেয়র ফ্র্যাংক স্কট জুনিয়র জানিয়েছেন, স্থানীয় হাসপাতালে অন্তত ২৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। টর্নেডোর আঘাতে শহরটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আরকানসাসের মেয়র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। অঙ্গরাজ্যটির মধ্যাংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রতিক্রিয়ায় সহায়তার জন্য স্থানীয় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে সক্রিয় করেছেন তিনি।
মেমফিস থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে ছোট শহর উইনে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে শুক্রবারের টর্নেডো। সিটি কাউন্সিলের সদস্য লিসা পাওয়েল কার্টার জানিয়েছেন, টর্নেডোর পর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে উইন। রাস্তাগুলো ধ্বংসাবশেষে পূর্ণ। তিনি বলেন, আমি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু যেতে পারছি না।
পুলিশ প্রধান রিচার্ড ডেনিস বলেছেন, শহরটি ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’। সেখানে বহু লোক আটকা পড়েছেন।
স্টর্ম প্রেডিকশন সেন্টারের প্রাথমিক তথ্যমতে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে অন্তত ৪৩টি টর্নেডো। এর মধ্যে ইলিনসেই আঘাত হেনেছে ১৬টি, এরপর আরকানসাসে ১২টি, আইওয়ায় আটটি, উইসকনসিনে তিনটি, টেনেসিতে দুটি এবং মিসিসিপিতে আঘাত হেনেছে দুটি টর্নেডো।
এই দুর্যোগের প্রভাবে মধ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
তবে বিপদ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। স্থানীয় সময় ভোর ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ইন্ডিয়ানা, উত্তর কেন্টাকি এবং পশ্চিম ওহাইওতে আরও ঝড় আঘাত হানার পূর্বাভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।