রোববার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ফলে পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি কমেছে। তাদের আশঙ্কা সামনের দিনে আরও কমতে পারে রপ্তানি আয়।
ইপিবির তথ্য মতে, ওষুধ ও তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাবদ মার্চ মাসে আয় হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রপ্তানি হয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।
প্রথম ৯ মাসে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ওভেনে প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্যে ৯৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) মার্চ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০২ কোটি ডলার। ৪৬৪ কোটি ডলার আয় হওয়ায় সেই লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি।
এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলারের। সেটি গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেশি ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আয় হয়েছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। শতাংশের হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট ৯ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২১-২২ অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (৯ মাসে) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩১১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে (৯ মাসে) সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ২২৬ কোটি ৪০ লাখ ইউএস ডলার। সে হিসাবে উল্লেখিত ৯ মাসে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৪ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম আয় হয়েছে।
ওষুধ ও তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাবদ মার্চ মাসে আয় হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।
খাতভিত্তিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ৯ মাসে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ওভেনে প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্যে ৯৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এদিকে, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৩১ শতাংশ, হ্যান্ডিক্রাফটসে ৩৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ ও কার্পেটে ৩২ দশমিক ৭৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।