সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় ব্র্যান্ড মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড ফাইন্যান্সের গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সূচক অনুযায়ী দেশ হিসেবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ৫০৮ বিলিয়ন ডলার। গত বছর তা ছিল ৩৭১ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে দেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে। পাশাপাশি দেশের দারিদ্র্য বিমোচন মডেলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
আর গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্সে দেখা যায়, গত বছর র্যাঙ্কিংয়ে ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৫তম। চলতি বছর ৮ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭। এ বছর বাংলাদেশের স্কোর ৩৫ দশমিক ১। গত বছর যা ছিল ২৯। এক বছরে বাংলাদেশের স্কোর বেড়েছে ৬ দশমিক ১।
আর এতেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল জাতিগত ব্র্যান্ডের একটি। জাতিগত ব্র্যান্ডিংয়ে শীর্ষ পাঁচটি সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা দেশের মধ্যে বাকি চারটি দেশ হচ্ছে উজবেকিস্তান, আজারবাইজান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্জিয়া।
মূলত ১২টি বিষয়ের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডিং করে থাকে ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স। সেগুলো হলো সে দেশের পরিচিতি, সুনাম, প্রভাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, শাসনব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, শিক্ষা ও বিজ্ঞান, মানুষ ও মূল্যবোধ, স্থায়িত্ব এবং স্বীকৃতি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্কোর পেয়েছে সুনাম সূচকে, স্কোর ৫ দশমিক ২। এর পরেই রয়েছে পরিচিতি সূচক, স্কোর ৪ দশমিক ৫। আর সবচেয়ে কম স্কোর ২ দশমিক ৩ পেয়েছে শিক্ষা ও বিজ্ঞান সূচকে।
এদিকে সূচকে এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে ভারতের। চলতি বছর দেশটির অবস্থান ২৮তম। আর এক ধাপ কমে পাকিস্তানের অবস্থান ৮৪।
জাতিগত ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক থেকে শীর্ষ দশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, চীন, ফ্রান্স, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও সংযুক্ত আরব-আমিরাত।
অর্থসংবাদ/এসএম