ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঈদযাত্রায় যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সরকারি ছুটি আরও একদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার সকালে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।

সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ -৫০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়বে বলে ধারণা তাদের। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার অফিস খোলা থাকায় যাত্রীদের একটি বড় অংশ যেতে পারবেন না।

এজন্য ওইদিনটিতেও সরকারি ছূটি ঘোষণা হলে যাত্রী চাপ কমবে বলে দাবি সংগঠনটির। ঈদ উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে বলেও দাবি করা হয়।

এর বিপরীতে দূর পাল্লার ৪০ হাজার যানবাহনে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪ লাখ বলে জানানো হয়। প্রয়োজনের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় পরিবহন সংকটের শঙ্কা সমিতির।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পূর্ববর্তী বছর হওয়ায় এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এছাড়াও এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরো প্রায় ৫ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে। এতে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারনে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিববহনে বাড়তি প্রায় ৯০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রা শুরু হলেও প্রধানত ১৮ এপ্রিল বেতন-বোনাস পাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহনে সড়কপথে ০৬ থেকে ১০ লাখ, নৌপথে ৮ থেকে ১০ লাখ, রেলপথে দেড় লাখ যাত্রী ওভারলোড হয়ে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু ২০ এপ্রিল অফিস খোলা থাকায় এই ৫০ লাখ যাত্রীর একটি বড় অংশ আটকে যাচ্ছে। এই কারণে ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রী চাপ কিছুটা কমতে পারে। অন্যথায়, ২১ এপ্রিল সড়ক-রেল-নৌ পথের পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। এজন্য ২০ এপ্রিল ০১ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি যাত্রাপথে বাড়তি নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সতর্কতা, প্রতিটি যানবাহনের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করা জরুরি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারনে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় বলে দাবি করে ঈদযাত্রায় সড়কে চাঁদাবাজি ও সকল জাতীয় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখার দাবি জানান।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেঁয়াজের দামে শঙ্কায় কৃষক, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি বন্ধ
তিনদিন সেন্টমার্টিনের হোটেল-মোটেল বন্ধ
চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট বাবলু
স্থলবন্দর এলাকায় মর্টারশেল, ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী
রংপুরের তারাগঞ্জ সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল শুরু
ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪
এক জালে ১৫৯ পোপা মাছ, দাম হাঁকছেন ২ কোটি
রেললাইনের ক্লিপ খুলে নিলো দুর্বৃত্তরা, অল্পের জন্য রক্ষা