এসব দেশের দাবি, বাজারে স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও তেল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাস থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, আলজেরিয়া এবং ওমান প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উৎপাদন কম করবে। যা গত বছরের অক্টোবরে ওপেক প্লাসের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হ্রাসের ঘটনা।
ওপেক প্লাসের সদস্য রাশিয়া বলেছে, তারাও এই বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়টি বর্ধিত করছে। এছাড়া উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বশীল এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করেছে দেশটি।
সৌদি আরবের সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ‘তেলের বাজারের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে’ জোর দিয়ে বলেছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
রয়টার্স বলছে, তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলো আলাদা করে উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই অনুযায়ী, সৌদি আরব প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল, ইরাক ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল, কুয়েত ১ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে।
বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্র উৎপাদনকারী যারা ওপেক প্লাস নামে পরিচিত, তাদের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সোমবার। আর এর একদিন আগেই তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা সামনে এলো।