বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে এবং অন্যান্য দেশ থেকেও এসময় পেঁয়াজ আসবে। কোনওক্রমেই পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি থাকবে না। এটা অবশ্যই কমে আসবে। আমরা পেঁয়াজের ওপর যথেষ্ট গবেষণা করেছি এবং বিজ্ঞানীরা অনেক উন্নতমানের জাত আবিষ্কার করেছে এবং এখন হেক্টরে ২০, ২৫, ৩০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব।
আয়েন উদ্দিনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বৃদ্ধি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনও সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। যদি আমদানি করতেই হয়, তবে আগে থেকেই আমদানির ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজ উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্য পায় তার জন্য স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণের নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দেশে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, আমরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। সরকার দ্রুত চীন, মিসরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, পেঁয়াজের বিষয়টি সরকার এবার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে নানা প্রণোদনা প্রদানের কারণে অতীতের তুলনায় এবার অধিকহারে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। এক্ষেত্রে আমরা আমদানি বন্ধ করে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে পায় সে ব্যবস্থা করবো। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। ভরা মৌসুমে কৃষকরা পেঁয়াজ খুব অল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। আগামীতে এটা যেন না হয় সে ব্যাপারে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।