ফিলিপাইনের ভূতত্ত্ব ও আগ্নেয়গিরিবিদ্যা (ভলকানোলজি) সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (ফিভোল্কস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভিগা সমুদ্রতীর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগরের তলদেশের ৪৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল (এপিসেন্টার)।
এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে যদি ভূমিকম্পটির এপিসেন্টার স্থলভাগে হতো, সেক্ষেত্রে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি উভয়ই হতো ব্যাপক পরিমাণে।
তবে সাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামির আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। ফিভোল্কসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হওয়ায় বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে, কিন্তু ভিগা উপকূলের কাছাকাছি শহরগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ শিগগিরই আবারও এই মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে ওই এলাকায়।’
প্রশাস্ত মহাসাগরের আগ্নেয় মেখলা টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতি বছর কয়েকবার ভূমিকম্পের শিকার হয় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। ফিলিপাইনও সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম।
অর্থসংবাদ/এসএম