এর আগে, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ করার মামলায় মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রক্রিয়ার সময় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তারও আগে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একপর্যায়ে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তখন আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুনানির পর এ মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ পর্যন্ত তিনি জামিন পেয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও তিনি এড়িয়ে যান। ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
জানা গেছে, সাবেক পর্নো তারকার মামলায় আসামি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক বা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলার আসামি হলেন।
স্টর্মিকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের কার্যালয়। স্টর্মির অভিযোগ, যৌন সম্পর্কের পর মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ঘুস দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অ্যাটর্নি ব্র্যাগকে ‘কলঙ্ক’ বলে আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদেরই ক্ষতি করবে।
অর্থসংবাদ/এসএম