পবিত্র লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশায় ইতেকাফকারীরা ওইদিন (বুধবার) ইফতারের আগে মসজিদে উপস্থিত হবেন। প্রত্যেক রোজাদার ইবাদত-বন্দেগির প্রতিযোগিতায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
রমজানে ইতেকাফের মূল উদ্দেশ্য-
রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করা। রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়ার চেষ্টা করা। কারণ এই রাতটি হাজার বছরের চেয়েও মর্যাদার। এ কারণেই নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের প্রতিটি বছরই রমজানে ইতেকাফ করতেন।
এবারের ইতেকাফের নির্ধারিত সময়-
রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজান মোতাবেক ১২ই এপ্রিল বুধবার সূর্যাস্তের আগ থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া সূর্যাস্ত পর্যন্ত (সম্ভাব্য ২২ এপ্রিল সূর্যাস্ত পর্যন্ত, ৯ বা ১০ দিন) ইতেকাফ করতে হবে।
ইতেকাফের প্রস্তুতি-
রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতে হয়। তাই ইতেকাফের রয়েছে কিছু প্রস্তুতি। ইতেকাফে বসলে রোজাদার কোনো ধরনের কথা-বার্তা, লেনদেন, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি কোনো কিছুতেই অংশগ্রহণ করতে পারে না।
ইতেকাফে বসার আগে আবশ্যক করণীয়-
১. পরিবারের ঈদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।
২. ফিতরা আদায়ের ব্যবস্থা করা।
৩. পরিবারের ব্যয়ভার বহনের ব্যবস্থা করা।
৪. মসজিদে ইফতার ও সেহরি পৌছানোর ব্যবস্থা করা।
৫. দুনিয়াবি জরুরি সম্ভাব্য কাজের সমাধানের ব্যবস্থা করা।
৬. পারিবারিক যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা করে যাওয়া।
উল্লেখ্য, পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনাসহ যারা একদিন আগে রোজা রেখেছেন, তারা ইতেকাফের নিয়তে প্রস্তুতিসহ বুধবার ইফতারের আগেই মসজিদে উপস্থিত হবেন।
ইতেকাফের প্রথম দিন থেকে শাওয়ালের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত বেজোড় রাতগুলোসহ প্রতিদিনই লাইলাতুল কদর পাওয়ার এবং আল্লাহ সন্তুষ্টি পেতে ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকবেন।