দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৭ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে এই সুবিধা পেয়েছেন তিনি। ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ ১০১টি ইলেকট্রনিকস পণ্য পেয়ে খুশি মনোয়ারা ও তার পরিবাবর। রবিবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ালটন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে নানা সুবিধা। সিজন-১৭তে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন কিনে ১০১টি পণ্য ফ্রি এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার কিংবা নিশ্চিত উপহার পাচ্ছেন ক্রেতারা।
এর আগে, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০১টি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন আরও তিন ক্রেতা। তারা হলেন- যশোর সদরের ল্যান্স করপোরাল (অব.) মোশারফ হোসেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নজরুল ইসলাম এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলার জসিম উদ্দিন।
গত ৬ এপ্রিল জুড়ী উপজেলার ভবানিগঞ্জ বাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজে’ মনোয়ারা বেগমের হাতে ১০১টি পণ্য তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং আরিফুল আম্বিয়া।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ মজিব মাহবুব, জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলে ওয়ালটনের জোনাল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান, এরিয়া ম্যানেজার সরওয়ার জাহান এবং ভাই ভাই শোরুমের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, মনোয়ারা বেগম ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের বাসিন্দা। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার তার। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। প্রবাসে থাকা ছেলের আয়ে চলে সংসার। বাসায় ব্যবহারের জন্য গত ২৫ মার্চ ওয়ালটন শোরুম থেকে ১৬৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর তার ফোন নম্বরসহ পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ১০১টি পণ্য ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইল ফোনে। শোরুম থেকেও ফোন করে বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয় মনোয়ারা জানান, ফ্রি পাওয়া এসব পণ্য নিজেরা ব্যবহার করবেন। ক্রেতাকে দেওয়া কথা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে ওয়ালটনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দেশের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে লাভ হয় সাধারণ মানুষের। বিদেশ থেকে প্রবাসিদের পাঠানো অর্থ দিয়ে যদি বিদেশি পণ্য কেনা হয়, তাহলে সেই টাকা আবার বিদেশেই চলে যায়। এতে লাভবান হয় বিদেশিরা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে সবাইকে দেশে তৈরি পণ্য কিনতে হবে। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থান যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়।’
অর্থসংবাদ/এসএম