রোববার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান। তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-১ এর প্রধান মো. বজলুর রশিদ জানান, ঢাকা শহরের অনেক মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যেসব মার্কেটে দাহ্যবস্তু রয়েছে সেসব মার্কেটে আগুন লাগলে মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী সুপার মার্কেটেও আগুন লাগলে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১০ মিনিটেই পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়বে। এ মার্কেটে ফায়ার এক্সটিংগুইশার (নির্বাপক) ছাড়া আগুন নেভানোর আর কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, মার্কেটের ইলেকট্রিক লাইনের অপরিকল্পিত সংযোগ অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে অগ্নিনির্বাপণে মার্কেট কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। এরই মধ্যে দুই লাখ লিটার পানি মজুতের ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২০১৯ সালে এই মার্কেটে একবার আগুন লেগেছিল। তখন কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। বঙ্গবাজারের মতো এই মার্কেটের অধিকাংশ স্থাপনা টিনশেডের, তাই অগ্নিকাণ্ডের জন্য মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে মার্কেট কর্তৃপক্ষের দাবি, ভেতরের গলিগুলো বড় এবং মার্কেটের ভিত ও পিলার পাকা হওয়ায় বঙ্গবাজারের মতো খারাপ পরিস্থিতি এখানে নেই। তবুও তারা ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু কাজ চলমান রয়েছে।