বুধবার (১২ এপ্রিল) গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত প্রফেসর সুদর্শন ডি. এস সেনেভিরত্নের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ককে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য আহরণ, ওষুধ, মেরিটাইম কানেকটিভিটি এবং উচ্চ শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অভ্যন্তরীণ তহবিল থেকে দেশের ৯০ শতাংশ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কঠোর পরিশ্রম করছে। বাংলাদেশে সফলভাবে দায়িত্বপালন করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত সুদর্শন ডি. এস সেনেভিরত্ন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো মাতারবাড়ি এবং পায়রাসহ অন্যান্য মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ কানেকটিভিটির বড় আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত দুইজনেই ব্লু-ইকোনোমির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশে বাণিজ্য, পর্যটন, গভীর সমুদ্র বন্দর এবং ওষুধ সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত।