বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর ৩৫ শতাংশ সিটি ব্যাংকের গ্রাহক। সেবাটি চালু করার মাধ্যমে সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক হিসেবে প্রথম তিন নির্দিষ্ট সুবিধাসংবলিত আন্তঃব্যবহারযোগ্য কিউআর চালু করল। প্রথমত, গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট নেটওয়ার্কে আর পৃথক কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে না। দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়ীদের কেবল দোকানে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একটি করে কিউআর কোড প্রদর্শন করতে হবে, যাতে করে দোকানের সামনে অনেক কিউআর স্টিকারে ভিড় এড়ানো যাবে। তৃতীয়ত, সিটি ব্যাংকের কিউআর কোডটি বৈদেশিক আন্তঃযোগাযোগযোগ্য সমাধান হিসেবে অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা ভ্রমণকারী গ্রাহকরা স্ক্যান করতে পারবেন।
কিউআর কোডভিত্তিক এই পেমেন্ট সলিউশনটি ব্যবহার করতে গ্রাহকদের সিটি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘সিটিটাচ’ ডাউনলোড করতে হবে এবং সেখানে প্রদর্শিত কিউআর কোডটি স্ক্যান করে অর্থ প্রদান করার জন্য তাদের যেকোনো ক্রেডিট, ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ড ডিফল্ট পেমেন্ট হিসেবে সেট করতে হবে। এ মহামারী চলাকালীন নগদ অর্থ প্রদানের একাধিক স্কিমের সঙ্গে এ সেবা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে দ্রুত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।
সেবাটি চালু উপলক্ষে সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এটি আমাদের সবার জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত। আমাদের এই কিউআর পেমেন্ট সলিউশন আন্তঃব্যবহারযোগ্যতার একটি উদাহরণ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও জড়িত। এটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিয়ে বিস্তৃত ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক ধাপ।
আর ভিসার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মার্চেন্ট সেলস অ্যান্ড অ্যাকুয়ারিং বিভাগের প্রধান শৈলেশ পল বলেন, আমরা সিটি ব্যাংকের কিউআর প্রদানের সার্থকতা অর্জনে গর্বিত। এটি একটি স্বল্প ব্যয়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম, যা ডিজিটাল পেমেন্টগুলোকে বাংলাদেশে আরো ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে সহায়তা করবে।