আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সহজে দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। এবারের গরমে ভিন্নমাত্রা রয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই তাপদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে।
বাতাসের জলীয়বাষ্প কম থাকায় মূলত এমন হচ্ছে। সকালে সূর্য ওঠার সাথে-সাথে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সাথে-সাথে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।
গত ১৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার বেলা ১২টায়ও জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, এ সপ্তাহ জুড়ে তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভানবা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সেইসাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে বলা হচ্ছে। লেবুর শরবত ও স্যালাইন খাওয়ারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তাপদাহের কারণে জেলা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শত শত শিশু বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই বৈরি আবহাওয়ায় শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন।