আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিডার চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন ও বিনিয়োগকারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সালমান এফ রহমান বলেন, বিডা যে কাজটি করেছে সেটা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে’। আরও জরুরি হয়ে গেছে সেটা হলো ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)। এটা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমাদের বিনিয়োগকারী যারা আছেন তারা আগ্রহী হবেন। ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) ও ডিজিটালাইজেশনে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সহজেই সমাধান করা যায়। কেননা ডিজিটালাইজেশন আমরা অনেকটা বাস্তব করে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো করা হচ্ছে। বিশেষ করে ৩০ হাজার একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের মেগা প্রকল্প হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর অনেক উন্নত হয়েছে, পতেঙ্গায় ‘বে টার্মিনাল’ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে সেটা সম্পন্ন হলে দেশে অবকাঠামো খাতে অনেক পরিবর্তন আসবে। ফলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছানোর জন্য যা যা করা দরকার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবাই ভেবেছিল করোনার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। কিন্তু দেখা গেছে আমাদের ৫.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ হয়েছে। যেখানে অন্যান্য দেশ নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ৮ শতাংশ। কিন্তু আমরা অর্জন করেছি ৫.২ শতাংশ।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় এর পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রবাসী কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য। এজন্য আমাদের বিনিয়োগকারীসহ বিদেশে থাকা প্রতিনিধিদের অভিনন্দন সালমান এফ রহমান।