বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিকুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বস্ত্র আইন, ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। এ আইনের ২(৬) ও ১২(২) নং ধারা মোতাবেক বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন ব্যতীত কোনো বস্ত্রশিল্প পরিচালনা করা যাবে না।
তবে, কতিপয় বায়িং হাউজসহ অন্যান্য বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান বস্ত্র অধিদফতরের নিবন্ধন গ্রহণ না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। যা আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। বস্ত্র অধিদফতরে নিবন্ধিত না হওয়ায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানা যায়।
এমতাবস্থায়, বস্ত্র আইন, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের বায়িং হাউজসহ অন্যান্য সকল বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান বস্ত্র অধিদফতর কর্তৃক নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক বিধায় এ সব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত আইনের আওতায় গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।