স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের চাল বিতরণের সময় ২টি অটোভ্যানে করে ওই প্রবাসীর বাড়িতে এবং পার্শ্ববর্তী আরও একটি বাড়িতে সরকারি এই চালগুলো নিয়ে আসা হয়। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে তারা এসে চালগুলো জব্দ করে।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কেউ বলতে পারবে না আমার পরিষদে কোনো অনিয়ম হয়। পরিষদে জেলেদের যে চাল আসে তা সঠিক এবং সুষ্ঠু পরিবেশন করা হয়। কার্ডধারী সব জেলেরাই চাল পাচ্ছেন। তবে চাল নিয়ে যদি কেউ বিক্রি করে দেয় সে দায়ভার আমি নেব না। তবুও আমি খোঁজ নিচ্ছি এই চাল এখানে কিভাবে এলো।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কোম্পানি বলেন, জেলেরা স্লিপ নিয়ে বারবার পরিষদে আসলেও চাল দিতে পারি না কিন্তু এদিকে এক প্রবাসীর ঘর থেকে এত চাল পাওয়া গেল। এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বস্তায় সরকারি সিল লাগানো চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩টি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল রয়েছে। এসময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। এ চালগুলো ঈদের বিশেষ ভিজিএফ চাল। আপাতত জব্দ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।