মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হ্যাকাররা অত্যন্ত সংগঠিত। তারা সুশৃঙ্খলভাবে সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে। ফলে, এদের যত না হ্যাকার মনে হয়, তার চেয়ে বেশি সাইবার গোয়েন্দা মনে হয়। এ রকম সাইবার হামলা চালিয়ে তারা কোটি কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করেন, এদের সঙ্গে উত্তর কোরীয় সরকারের যোগসাজশ আছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বলছেন, এই হ্যাকার গোষ্ঠীর নাম ‘বিগল বয়েজ’। বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তারা আবার সক্রিয় হয়েছে।
তখন থেকে তারা বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় হানা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনেও সম্ভবত এই গোষ্ঠী কাজ করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, বিগল বয়েজ সম্ভবত বিভিন্ন হ্যাকার গোষ্ঠীর একটি প্ল্যাটফর্ম।
বাংলাদেশেও ব্যাংক খাতে নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে, অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করেছে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক তাদের নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে দিচ্ছে না।
এদিকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সাইবার হামলা চালানোর মতো ম্যালওয়ার ভাইরাসের অবস্থান শনাক্ত করার পর এটিকে অকেজো করতে কাজ শুরু করেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। টানা আট দিন কাজ করার পর তারা ভাইরাসটি কীভাবে আক্রমণ করতে পারে সে কৌশল আবিষ্কার করেছেন। এখন ভাইরাসটির কার্যকারিতা অকেজো করা সহজ হবে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এটিকে ব্লক বা অকেজো করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলেছেন, আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যেই অনলাইন লেনদেন পদ্ধতি থেকে ভাইরাসটিকে ক্লিন করা যাবে।
সূত্র : ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল