শনিবার ভোমরা স্থলবন্দরের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হয়। তিনদিন আগেও এখানকার পাইকারি বাজারে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৪-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে তিনদিনের ব্যবধানে ভোমরা স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা বেড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত সবচেয়ে বড় মোকাম সুলতানপুর বড় বাজার। এখানকার পাইকারি দোকানগুলোয় শনিবার ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়। তিন-চারদিন আগেও আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে তিন-চারদিনের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৮ টাকা বেড়েছে।
একইভাবে তিন-চারদিন আগে প্রতি কেজি দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ মানভেদে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল তা কেজিপ্রতি ৫৫-৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা হয়েছে। এর জের ধরে পেঁয়াজের উৎপাদন ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত নাসিক ও আশপাশের অঞ্চলগুলো বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এসব জায়গায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশের বাজারে নাসিক থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে। তাই দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়তির দিকে রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পেঁয়াজ আমদানিতে দেশীয় আমদানিকারকরা বিহারের প্রতি ঝুঁকবেন। তাই সেখান থেকেও বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হবে। সুতরাং তাড়াতাড়ি দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬৪ হাজার ৭৮১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে আমদানি হয়েছে ৩৮ হাজার ৩৩৮ টন ও আগস্টে ২৬ হাজার ৪৪৩ টন। এর আগের অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বাজারে ৫২ হাজার ৪৪২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে জুলাইয়ে আমদানি হয়েছিল ৩২ হাজার ৪৩২ টন ও আগস্টে ২০ হাজার ১০ টন পেঁয়াজ। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে ১২ হাজার ৩৩৯ টন।