বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে এই অভিযোগ একরকম স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অব্যাহতি পত্রে তিনি বলেছেন, সচেতনভাবে এই অনিয়ম তিনি করেননি। এটি ছিল একটি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’।
চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সুপারিশে বিবিসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান রিচার্ড শার্প। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পরই অভিযোগ ওঠে—নিজের প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারী নিয়মনীতিকে পাশ কাটিয়ে বরিস জনসনকে ৮ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) ব্যাংক ঋণ পেতে মধ্যস্থতা করেছিলেন শার্প এবং এই কাজটি তিনি করেছিলেন বিবিসির চেয়ারম্যান পদের জন্য বরিস জনসনের সুপারিশ লাভের মাত্র এক সপ্তাহ আগে।
এই অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখা শুরু করে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যাংক ঋণ বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা এবং তদন্তে বিবিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। তার জেরেই শুক্রবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শার্প।